একজন অন্তর্মুখী বা ইন্ট্রোভার্ট (Introvert) মানুষকে কিভাবে চিনবেন?
১. ফোনের রিং বাজতে বাজতেই বা ফোন বাজছে শুনে রিসিভ করতে আসতে আসতে লাইন কেটে গেলে এঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।
২. বন্ধুদের আড্ডা, সামাজিক অনুষ্ঠান, সাধারন দেখা সাক্ষাতে এদের দেখতে পাওয়াটা প্রায় অসম্ভবই বটে।
৩. এদের বন্ধু সংখ্যা নিতান্তই সীমিত।
৪. এরা বেশ ভালো মানের শ্রোতা। কথা বলার চেয়ে শুনতে বেশি পছন্দ করেন।
৫. এরা খুব ভালো পর্যবেক্ষক হয়ে থাকেন।
৬. তারা সহজে তাদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করে না। এ ক্ষেত্রে এদের যেনো রাজ্যের সংকোচ।
৭. মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে এরা দারুন অস্বস্তি বোধ করেন।
৮. অকারণ আড্ডা এঁদের খুবই অপছন্দের। তবে এদেরকে পছন্দের বিষয়ে কথা বলতে দিলে ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তৃতা দিয়ে যেতে পারেন।
৯. অধিকাংশ সময়ই এদের পছন্দকারী মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশ কম হয়। অন্তর্মুখী স্বভাবের জন্য অনেকেই এদেরকে ভুলবুঝে অহংকারী ভেবে থাকে।
১০. প্রতিবেশীরা এদের নাম না-ও জানতে পারেন আর চেহারা দেখা সেতো কালে-ভদ্রে।
১১. অন্যের কাছে ঋণ চাওয়া এদের দ্বারা প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। একান্ত বাধ্য হয়ে খুব কাছের কোনো বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে নিলেও যতক্ষন পর্যন্ত শোধ না করতে পারে ততক্ষন খুবই উদগ্রীব থাকে। এর পেছনের অর্ন্তনিহীত উদ্দেশ্য হলো; মানুষের সাথে যোগাযোগ কম রাখা।
১২. এরা খুবই প্রচার বিমুখ প্রকৃতির। এরা কদাচিৎ কাহারো দৃষ্টি আকর্ষণে আগ্রহী। স্পটলাইট থেকে সর্বোচ্চ দূরত্ব বজায় রাখা এদের বৈশিষ্ট।
১৩. রাগের তুলনায় এদের অভিমানের মাত্রা বেশি।
১৪. এরা বিশেষত মারাত্বক ঘরকুনো। চাকরি, অফিস এগুলোর চেয়ে এরা ফ্রিল্যান্স যে কোনো পেশায় বেশ আগ্রহি এবং স্বাচ্ছন্দবোধ করে।
১৫. এঁদের জন্মদিনের তারিখ খুব কম মানুষ-ই জানে। এবং জন্মদিন উৎযাপনে এদের ব্যপক অনিহা থাকে।
১৬. অন্তর্মুখী স্বভাবের কারনে অনেক সময় এদেরকে আনস্মার্ট বা ক্ষ্যাত হিসেবে ভুলভাবে আখ্যায়িত করা হয়।
১৭. এদের বিশেষ দক্ষতা বা দুর্বলতাগুলো সম্পর্কে খুব কাছের বন্ধুবান্ধব, পরিবারের লোকজন ও আত্বীয়স্বজন ছাড়া তেমন কেউ জানে না।
১৮. মানুষের অঙ্গভঙ্গি বা বডি ল্যাংগুয়েজ বিশ্লেষণের ক্ষমতা সাধারণত এক্সট্রোভার্টদের তুলনায় এদের বেশি থাকে।
১৯. অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে এরা একদমই কৌতূহলি না, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৌতহল জন্মালেও তা সেভাবে প্রকাশ করেন না।
২০. এদের নিজস্ব কিছু কল্পনার জগৎ থাকে এবং সে জগৎ এতটাই বিসতৃত যে তা আপনার ধারণার চেয়েও বহুদূর।
২১. বাড়িতে কোনো অতিথি আসলে বেশিরভাগ সময় তারা এদের উপস্থিতি টের পান না।
২২. অপরিচিত বা খুব কাছের মানুষ না এমন কারো মেসেজের রিপ্লাই দিতে এরা তুলনামূলকভাবে বেশি সময় নেন। এদের অনেকেই আবার কেউ কেউ বেশ গুছিয়ে কথা বলতে আবার কেউ কেউ গুছিয়ে লিখতে বেশ পারদর্শি।
২৩. ক্লাসের শেষের দিকে বেঞ্চগুলো, বাসের সবচাইতে কোণার সিটখানা, অফিসের সবচেয়ে কর্নানের ডেস্কই এদের বেশি প্রিয়।
২৪. হীনমন্যতা নয় তবে কখনও কখনও নিজেকে কারো পছন্দের যোগ্য বলে ভাবতে ভয় পান।
২৫. রাস্তায় হঠাৎ কোনো পরিচিতকে দেখতে পেলে এগিয়ে গিয়ে কথা বলার চেয়ে এরিয়ে যাওয়ার ভংগিমা বা মুখ ঢেকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া বা টুক করে পাশের গলিতে ঢুকে পড়ার কাজটাই বেশি করে থাকেন।
বিখ্যাত কয়েকজন অন্তর্মুখী বা ইন্ট্রোভার্ট মানুষঃ
১. আলবার্ট আইনস্টাইন
২. বিল গেটস
৩. ওয়ারেন বাফেট
৪. মেরিল স্টিপ
৫. বারাক ওবামা
৬. এমা ওয়াটসন
৭. স্টিভেন স্পিলবার্গ
৮. আব্রাহাম লিংকন
৯. মার্ক জাকারবার্ক
১০. ইলন মাস্ক
১১. মহাত্বা গান্ধী
১২. অড্রি হেপবার্ন
১৩. লেডি গাগা
১৪. হিলারি ক্লিনটন
১৫. আইজাক নিউটন