সাধারণ কিছু ভদ্রতা যা আপনার অবশ্যই শেখা এবং মেনে চলা উচিত

15 Little Etiquette Rules You Should Always Practice


সাধারণ কিছু ভদ্রতা যা আপনার অবশ্যই শেখা এবং মেনে চলা উচিত



১. কাউকে একবার বা বিশেষ প্রয়োজনে পরপর দুইবারের বেশি ফোন কল করবেন না। যেহেতু সে আপনার কল রিসিভ করছে না তার মানে সে আপনার ফোন কলের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজে ব্যস্ত আছে।


২. কারো কাছ থেকে ঋণ করলে সেটা অবশ্যই যে দিন ফেরত দিবেন বলে কথা দিয়েছিলেন সেদিনই ফেরত দিন। ঋণদাতা যদি ভুলেও গিয়ে থাকে তারপরও তাকে সময়মতো ফেরত দিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে ভুলবেন না।

৩. তুমি এখনো বিয়ে করছো না কেনো কিংবা তুমি নতুন বাড়ি-গাড়ী কেন কিনছো না? দয়া করে কাউকে এ রকমের প্রশ্ন করবেন না।

৪. কোন বন্ধু বা সহকর্মীর সঙ্গে রাইড শেয়ার করলে, আপনার বন্ধু বা সহকর্মী যদি আজকে বিল পরিশোধ করে তাহলে আগামীদিন আপনি বিল পরিশোধ করুন।

৫. আপনার চেয়ে ছোট হোক, বড় হোক, জ্ঞানী কম হোক বা বেশি হোক, সর্বদা অন্যের মতামতকে সম্মান জানাতে শিখুন।

৬. কেউ আপনাকে কিছু বলছেন এবং আপনি শুনছেন, এ অবস্থায় তার কথার মাঝখানে আপনি কথা বলা শুরু করে না দিয়ে, তার কথা শেষ হতে দিন, তারপর আপনি শুরু করুন।

৭. আড্ডায়, অফিসে বা কোনও অনুষ্ঠানে কারো সঙ্গে আপনি মজা করছেন, কিন্তু সে যদি সেটা উপভোগ না করে বা হিউমিলিয়েটেড হন তাহলে আপনার অবশ্যই থামা উচিত এবং এরকম টা আর কখনও করা উচিত নয়।

৮. কারো যখন প্রশংসা করবেন সেটা সবার সামনে করুন এবং সর্বদা অন্যের সমালোচনা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

৯. কেউ যদি কোনো কিছু দেখানোর জন্য আপনার হাতে তার ফোন বা ল্যাপটপ টি এগিয়ে দেয়, তাহলে ঐ নির্দিষ্ট জিনিসটি দেখে ফোন বা ল্যাপটপ টি আবার তাকে দিয়ে দিন। ফোন বা ল্যাপটপ এগুলো খুবই ব্যক্তিগত জিনিস তাই অন্যের ব্যক্তিগত ডিভাইস নিয়ে তার অনুমুতি ব্যতিরেকে ঘাটাঘাটি না করাই ভদ্রতা।

১০. মিটিংয়ে বা কারো সঙ্গে কথা বলার সময় মোবাইল ফোন হাতে রাখবেন না বা টিপাটিপি করবেন না।

১১. যেচে পরে অন্যের ঝামেলায় বা অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাতে যাবেন না। কোনো বিষয় যদি আপনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিজেকে নিয়েই থাকুন।

১২. কারো ব্যক্তিগত ব্যাপারে যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার কাছে উপদেশ চাওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করবেন না এবং উপদেশ দিতে যাবেন না।

১৩. হোক সে রিক্সাওয়ালা কিংবা আপনার অফিসের বস সবাইক সমান সম্মান দিতে শিখুন।

১৪. কারো আপনার বেতন কত, আপনি কি চাকরি করেন, আপনার ব্যবসা কি, এসব নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করবেন না বা তার চাকরি, ব্যবসা, বেতন নিয়ে জ্ঞান দেয়া শুরু করে দিবেন না।

১৫. কারো কাছ থেকে যদি নূন্যতম সাহায্য নিয়ে থাকেন তাহলে তাকে ধন্যবাদ দিতে শিখুন, এবং সুযোগ পেলে তাকেও সাহায্য করার মানুষিকতা রাখুন।
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* দয়া করে স্পামিং করবেন না। সকল কমেন্টই এডমিনদ্বারা রিভিউ করা হয়ে থাকে.