জেনে নিন মানব দেহের ২১ টি চমকপ্রদ তথ্য যেগুলো হয়ত আপনার অজানা!
১ . মানুষের জিভ দেখে শারীরিক অবস্থার অনেক কিছু বুঝা যায়। জিভের নমুনা একেবারে ভিন্নতর। তাই গ্রাম বা মফস্বলের ডাক্তারদের কাছে গেলে তার সর্বপ্রথম আপনার জিভ দেখতে চাইতো।
২. মানুষের একটি চুল ঝুলন্ত আপেলের ওজন ধরে রাখতে সক্ষম। তবে বিজ্ঞানীরা আপেলের মাত্রা নির্দিষ্ট করেন নি।
৩. একজন মানুষের মুখে থাকা ব্যাকটিরিয়ার সংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার সমান বা তার থেকেও বেশি।
৪. কোনো ব্যক্তির নখগুলো যদি নরম ও ভঙ্গুর এবং চাঁদহীন হয়, তাহলেও তা অতিরিক্ত থাইরয়েডের নির্দেশ করতে পারে।
৫. আমাদের মস্তিস্কের স্পন্দনের গতি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ২৪৮ মাইল।
৬. মানবদেহে মোট রক্তের ধরন ২৯ টি। কিন্তু আমাদের ধারনা আমাদের দেহে মোট ৪ ধরনের রক্ত রয়েছে। আমাদের দেহের ২৯ ধরনের রক্তের মধ্যে বিরলতম রক্তের ধরন হচ্ছে বোম্বাই সাব টাইপ।
৭. মানবদেহের রক্ত মাত্র একদিনে ১৯,৩১২ কিলোমিটার দূরত্ব পথ পাড়ি দেয় বা দৌড়ায়।
৮. আমাদের মানবদেহের সকল স্নায়ুর যদি মাপ নেয়া হয় তাহলে এর মোট দৈর্ঘ্য হবে ৪৫ কিলোমিটার
৯. আমরা মানুষরা প্রতিদিন প্রায় বিশ হাজার বার শ্বাস নেই।
১০. দুনিয়ার মোটামুটি সকল লোকের চোখের পাতায় একটি বিশেষ ধরনের উপাদান থাকে যার নাম ডেমোডেক্স।
১১. আমাদের চোখ প্রায় ১ কোটি নানান রংয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। কিন্তু এর সবগুলো মনে রাখতে আমাদের মস্তিষ্ক অপারগ।
১২. মানুষের কান বেশ অবিশ্বাস্য গতিতে সারাজীবন ধরে বাড়তে থাকে। আমাদের কান এক বছরে ১ মিলিমিটারের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
১৩. মানুষের হৃদপিণ্ড ১ বছরে মোট ৩৫ মিলিয়ন বার স্পন্দিত হয় বা বিট দেয়।
১৪. আমরা প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন ত্বকের কোষ হারিয়ে ফেলছি, যার মোট পরিমাণ প্রতিবছরে প্রায় ২ কেজি।
১৫. আমাদের ত্বকে প্রতি ১ বর্গ সেন্টিমিটারে মোটামুটি শতাধিক ব্যথা সংবেদনশীল কোষ রয়েছে।
১৬. মহিলাদের জিহ্বায় পুরুয়ের চেয়ে স্বাদের কুঁড়ি বা টেষ্ট বাড বেশি থাকে।
১৭. একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় গড়ে প্রায় ৩৫ টন খাদ্যগ্রহণ করে।
১৮. একজন মানুষ তার মোট আয়ুস্কালের মধ্যে ৫ বছর খুবই সক্রিয় থাকে।
১৯. প্রতি সেকেন্ডে আমাদের মস্তিস্কে প্রায় ১ লক্ষ রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে।
২০. আমাদের হাঁচির গতি ঘন্টায় প্রায় ১৬০ কি.মি.।
২১. আমরা যখন হাসি তখন আমাদের হাসিতে মুখের ১৭টি পেশিকে আন্দোলিত করে। অন্যদিকে কান্না করলে মাত্র ৪৩ টি পেশি সক্রিয় হয়। তাই যত পারুন মোন খুলে হাসুন।